ফ্রেশ পনীর

প্রস্তুতি

২ লিটার ফুল ফ্যাট মিল্ক নিতে হবে।
[ফুল ফ্যাট মিল্ক বলতে বোঝায় যেই দুধটা থেকে মাখন তুলে নেওয়া হয়নি ]
আপনারা চাইলে প্যাকেট দুধ এর পরিবর্তে গরুর দুধ দিয়ে পনীর তৈরী করতে পারেন।
১/৪ কাপ বা ৬০ মিলি ভিনিগারে ১/৪ কাপ বা ৬০ মিলি জল দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।

ছানা তৈরী

হাই ফ্লেমে দুধ এর পাত্র বসিয়ে অনবরত নাড়তে হবে যাতে দুধের উপরে সর পড়ে না যায় ও তলায় না বসে যায়।
দুধ পুরো পুরি ফুটে উঠলে ফ্লেমটা অফ করে দিতে হবে ও সঙ্গে সঙ্গে ভিনিগার ও জলের মিশ্রণ অল্প অল্প করে দিয়ে নাড়তে থাকবেন দেখবেন ২ - ৩ সেকেন্ডের মধ্যেই ছানা কাটতে শুরু করবে।
ধীরে ধীরে একই দিকে নাড়বেন এতে ছানাটা চাপ চাপ হয়ে তৈরী হবে ও পনীরটাও ভালো হবে।
ছানাটা পুরো পুরি কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ছেঁকে নিতে হবে।
[চেষ্টা করবেন পাতলা সাদা সুতির কাপড় নিতে রঙিন কাপড় নিলে রং উঠতে পারে। ]

পনীর তৈরী

ছেঁকে নেওয়ার পর ছানাটা জলে ৩ - ৪ মিনিট ধুয়ে নেবেন যাতে ছানাটা ভেতরের গরম ভাব ও ছানার টকটা পুরো বের হয়ে যায়।
এই ছানা দিয়ে যেমন পনীর তৈরী করা যায় তেমন বিভিন্ন ধরণের মিষ্টিও বানাতে পারবেন।
ধোয়ার পর ছানাটা একটু আলতু চেপে জল বের করে নেবেন।
ছানার মুখের কাপড়ের বাঁধনটা একটু আলগা করে দেবেন।
ছানার উপরে একটা পরিষ্কার শীল চাপিয়ে দিতে হবে, আমি চপিং বোর্ড এর উপরে ছানাটা রেখে শীল চাপা দিয়েছি আপনি চাইলে হাঁড়ির ঢাকনা ব্যবহার করতে পারেন ঢাকনাটা উল্টো করে রাখবেন যাতে জলটা গড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে।
[পনীরটা বেশ গোল বল অবস্থাতেই চাপা দিতে হবে যাতে পনীর তৈরী হওয়ার পরেও বেশির পুরু থাকে।
৩০ - ৩৫ মিনিট শীল চাপা অবস্থায় রাখতে হবে।
এর থেকে বেশি সময় একদমই রাখবেন না তাহলে পানীর শক্ত হয়ে যাবে।
[৩০ - ৩৫ মিনিট রাখতে বললাম এতে পানীর খুব সুন্দর ও নরম হবে।]
৩৫ মিনিট পর পনীর টা বের করে নিতে হবে।
দেখুন পনীর টা কত ভালো তৈরী হয়েছে।
২ লিটার দুধ থেকে ৩৮০ - ৪০০ গ্রাম পনীর তৈরী হবে।
[ ফুল ফ্যাট মিল্ক না নিলে পনীর এর ওজন কম হবে গুণমান ও ভালো হবে না ]
তৈরী হয়ে গেল নরম ও সুস্বাদু পনীর।
দেখলেন কত সহজেই বাড়িতেও দোকানের থেকে উন্নত মানের পনীর তৈরী করা যায়।